চরভদ্রাসনে তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৪

 

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুর হলেই যেন আগুনের ফুলকী বইতে শুরু করে।
সকাল ৮টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।

তীব্র গরমে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রকৃতির এমন আচরণে প্রাণ ওষ্ঠাগত। একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই।

উপজেলার এম পি ডাঙ্গীর এলাকার ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ভাই খুব বেশি গরম পড়ছে। রাস্তায় ভ্যান চালানো যাচ্ছে না। গরমে মাথা পুড়ে যাচ্ছে।

বালিয়াডাঙ্গী এলাকার ইজিবাইক চালক শামীম হোসেন বলেন, গরমে জামা কাপড় সব ভিজে যাচ্ছে। সকালে গরম একটু কম থাকলেও দুপুরের পর অসহ্য গরম লাগে। বাইরে বের হওয়া যায় না। যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে কম।
উপজেলার উত্তর আলম নগর গ্রামের কৃষক বিশারত আলী বলেন, বেশ কয়েকদিন হলো প্রচণ্ড গরম পড়ছে। বৃষ্টির দেখা নেই। গরমে খেতের ফসল খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। এদিকে গরমের কারণে বেড়েছে তরমুজ ও ডাবের চাহিদা। বেড়েছে দামও। একশ টাকার নিচে ডাব মিলছে না। উপজেলার সদর বাজারের ডাব বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, গরমে ডাব বিক্রি বেড়েছে, তবে রোদে দাঁড়িয়ে ডাব বিক্রি করতেও জীবন বেরিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া প্রচণ্ড গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ তাপজনিত রোগ। বিশেষ করে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাফিজুর রহমান বলেন বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, গরমজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে ও সুস্থ থাকতে হলে বেশি করে পানি পান করতে হবে। বাসি-পচা খাবার পরিহার করতে হবে। তাছাড়াও ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। যথাসম্ভব ছায়া-শীতল স্থানে থাকতে হবে।