সালথায় দুই বাড়িতে চুরি ও ডাকাতি

প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পরপর দুই রাতে পাশাপাশি দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিবাগত রাতে ও সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় ডাকাতির এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা প্রায় ৫/৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলন চাকমা।

ভুক্তভোগী দুই পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে খাবার খেয়ে প্রতিদিনের মত ঘুমিয়ে পরেন ফুকরা পশ্চিম পাড়ার মৃত ছদন মাতুব্বরের পুত্র মালেক মাতুব্বর। পরদিন সোমবার সকালে তাদের ঘুম থেকে উঠতে দেড়ি হওয়ায় তার ভাতিজা তাদের ডেকে তোলে। ঘুম থেকে উঠে দেখে ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো। খুজে দেখে নগদ টাকা দামী ঘহনাসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে। শিশু সহ পরিবারের মোট ৭জন সদস্যই গভীর ঘুমে মত্ত ছিলেন। তাদের খাবারে বা পানিতে কোন ক্যামিক্যাল মেশানো থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে তারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

প্রতিদিনের মত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন, মোঃ দেলোয়ার মাতুব্বরের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)। ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার পা বাঁধা। এরপর তার হাত পেছনে নিয়ে বাঁধা হয়। কথা৷ বলায় আলমগীর কে মারধর করে মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর মোবাইল, সোনার ও রোপার গহনা, নগদ টাকাসহ প্রায় ৫লাখ টাকার বেশ মালামাল নিয়ে যায়। অন্য ঘরে হানা দেওয়ার সময় আলমগীরের মা টের পেয়ে চোর বলে চিৎকার করা ডাকাতরা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর আলমগীরের মা বাবা এসে আলমগীর কে হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। চারজনেরই দেখতে পেলেও সংখ্যায় আরও বেশি ছিলো ডাকাতরা। তাদের কথা বার্তায় তাদেরকে স্থানীয় মনে হয়েছে বলে আলমগীর জানায়।

সালথা থানার চার্য অফিসার এসআই মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই সালথা থানা পুলিশের একটি টিম এবং ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলন চাকমা স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।